
একই দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ করতে চায় এনসিপি ও ছাত্রদল
- আপলোড সময় : ২৯-০৭-২০২৫ ০৪:২৭:১০ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৯-০৭-২০২৫ ০৪:২৭:১০ অপরাহ্ন


জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ৩ আগস্ট জাতীয় শহীদ মিনারে ছাত্র সমাবেশ করবে ছাত্রদল। এদিন একই স্থানে সমাবেশ করতে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি)। গতকাল সোমবার সমাবেশের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ শেষে বিকাল ৫টায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ছাত্রদল। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতারা এনসিপির আবেদনের বিষয়টি বিবেচনা করার কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমরা জুলাই আগস্ট কর্মসূচি যখন প্রণয়ন করি, সেই সূচনালগ্ন থেকেই ৩ আগস্ট এই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার জন্য মনস্থির করি। জুন মাসেই আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে শহীদ মিনারে প্রোগ্রামের অনুমতি পাই। পরে জুলাইতে এনসিপি কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, তারা এখানে সমাবেশ করতে চান। তিনি বলেন, আমরা আগে থেকেই শহীদ মিনারে সমাবেশের অনুমতি নিয়ে রেখেছি জানতে পেরে এনসিপির শীর্ষ নেতারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা আবেদন করেছেন যেন এখানে সমাবেশটা করতে পারেন। তারা মিটিং করার জন্য বারবার কল দিয়েছেন, এমনকি আজও (গতকাল সোমবার) কল দিয়েছেন। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও তারা যোগাযোগ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা শহীদ মিনার নিয়েছি এ কারণে যে আমাদের সমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মী আসবেন, সেখানে শহীদ মিনার ছাড়া অন্য কোথাও করলে রাস্তা ব্লক হতে পারে, জনদুর্ভোগ হতে পারে। আমরা সেটা চাই না। তবে এখন যেহেতু তারা বারবার আবেদন করছেন, আমরা বিষয়টি ভেবে দেখবো। ছাত্রদল যেহেতু প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না, তাই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি আজ (গতকাল সোমবার) রাতে মিটিং করে একটা সিদ্ধান্তে আসবে। এখন পর্যন্ত আমাদের ভেন্যু শহীদ মিনারই। সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, আমরা ১ জুলাই থেকে মাসব্যাপী বৃহৎ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩ আগস্ট সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে আগেই অনুমতি নিই। হঠাৎ জানতে পারি একই দিনে শহীদ মিনারে এনসিপিও সমাবেশ করতে চায়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রদলের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির দিন ও স্থানে অন্য একটি দলকে অনুমতির চেষ্টা করা হলে, সেটি শুধু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্ম দেবে না, বরং প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। নাছির আরও জানান, সমাবেশ বাতিল বা স্থান পরিবর্তনের বিষয়ে ছাত্রদল এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা বা সমঝোতা হয়নি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, ছাত্রদল ২২ জুন সমাবেশের অনুমতি পেয়েছিল ঠিকই, কিন্তু একই সময়ে ও একই স্থানে দুটি পৃথক রাজনৈতিক সংগঠনকে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ